নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারা বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই হানা দিয়েছে এ ভাইরাস। এর সংক্রমণ থামাতে প্রায় সব দেশই কোনো না কোনোভাবে লকডাউনের পথে হাঁটলেও পরিকল্পিতভাবে এর তাণ্ডব থামাতে পেরেছে খুব কম দেশই। বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে লকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষের চাকরি চলে গেছে। মধ্য ও নিম্নবিত্তের ঘরে ঘরে চলছে আর্থিক সংকট। ঠিক এমন সময় দেশের বহু বিত্তবান হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও কিছু মানুষ তাদের সহযোগিতার হাত খোলা রেখেছেন ঠিকই। তাদের উদ্দেশ্য আত্মপ্রচার নয়। তারা মানবতার সেবায় নীরবে নিভৃতে সাধারণ মানুষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এই মানবতার ফেরিওয়ালাদের একজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় পরিবহণ ‘গ্রামীণ ট্রাভেলস’ চেয়ারম্যন আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান। আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে বুঝতে পেরেছিলেন, কী ঘটতে যাচ্ছে প্রিয় বাংলাদেশে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই প্রতিদিন নতুন উদ্যোগ আর নতুন চিন্তা ভাবনায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিশেষ করে সদরের জনগণের পাশে ছিলেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা। মহামারি করোনা পরিস্থিতির শুরুতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে গ্রামীণ ট্রাভেলসের ব্যনারে তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। ঈদুল ফিতরের সময় আরো কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদ শুভেচ্ছা বাবদ উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ দেন আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান। তিনি শুধু অর্থ, খাদ্যসামাগ্রী ও নির্দেশনা দিয়েই বসে থাকেননি বরং তিনি সম্মুখ যোদ্ধার মতো মাঠে ছিলেন পুরো গ্রামীণ ট্রাভেলস টিম নিয়ে জীবনের ঝুঁকি সাথে করে। আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান করোনাকালে মানবতার সেবায় নিজস্ব উদ্যোগে এমন দান-অনুদানের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকেই যা কিছু করেছি সবই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী করেছি। নেত্রীর নির্দেশ ছিল, অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। তাদের পাশেই আছি। সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এই যে দানশীলতা। এটা আমার রক্তে মিশে আছে। এটা আমি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। সবার কাছে দোয়া চেয়ে আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান বলেন, এই ধারাবাহিকতা যেন এ দুর্যোগে অবশ্যই অব্যাহত রাখতে পারি। আমি সাধারণ মানুষের পাশে আগেও ছিলাম, বর্তমানেও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।