
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনাহার গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে ভুয়া ও হলুদ সাংবাদিক বেলাল হোসেন বাবু তিনি সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ান। তার টার্গেট থাকে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম্য মাতবার, ওয়ার্ডের মেম্বার, তাশ, জুয়া ও মাদক স্পটসহ এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
ভুয়া সাংবাদিক বেলাল হোসেন বাবু বিশেষ গোত্রের তথাকথিত সাংবাদিক ছুটেননা কোনো সংবাদের পেছনে। ওনি ছুটেবেড়ান ‘বিশেষ কিছু’র পেছনে। সে নিজেকে সাংবাদিক ও উপজেলা সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গেই তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো কোনো সংবাদ (নিউজ) লেখেন না। তবে তার হাবভাব, চালচলন হুমকি-ধামকিতে তটস্থ থাকেন উপজেলার ডাহিয়া, ইটালী, চৌগ্রাম, রামানন্দখাজুরা ও সুকাশ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারন জনগন সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানযায়, বেলাল হোসেন বাবুর নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, নেই কোন রিপোর্ট লেখার অভিজ্ঞতা, লেখাপড়া করেছে কওমী মাদ্রাসায় কোন রকমে কোরআন পড়া শিখেই এলাকায় এসে শুরু করে কবিরাজি চিকিৎসা, বিবাহিত জীবনে তার রয়েছে ৩টি বউ দুঃখের বিষয় তার পাশাবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিন তিনটি বউ চলে গিয়েছে বাপের বাড়ী।
ভুয়া সাংবাদিক বেলাল হোসেন বাবু তান্ত্রিক কবিরাজ ও বেলাল কবিরাজ ঘর নামে দুটি ফেসবুকে আইডি খুলে নিজ এলাকাসহ অন্য এলাকায় জ্বিন দ্বারা চিকিৎসার নাম করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সমাজের কর্তাব্যক্তিদের কাছে গিয়ে নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল যমুনা প্রতিদিনের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি এবং নওগাঁর আত্রাই থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক আত্রাই পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে থাকেন।
২০১৯ সালে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তান্ত্রিক কবিরাজি চিকিৎসালয় নামে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাক্ষরিত ট্রেডলাইসেন্স ও পরিচয় পত্র নিয়ে ভুয়া ও প্রতারণার অবৈধ ব্যবসাকে হালাল করে নিয়েছে।বর্তমানে বেলাল হোসেন বাবু সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার রংবেরঙ আইডি কার্ড গোলায় এবং শার্টের পকেটে ঝুলিয়া পেশাদার সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টু-পাইস কামানোর ধান্দাবাজীতে মেতে উঠেছে। সিংড়া উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ত আর এদের প্রতারণা রোধ করতে সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ ছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সিংড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এই ভুয়া সাংবাদিক বাবুর গ্রুপকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।